বরগুনার তালতলীর ফকিরহাটে পূর্ণাঙ্গ মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি কেন্দ্রের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সামনে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১০টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধনে কয়েক হাজার মৎস্যজীবীসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করেন।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে বিএফডিসি চেয়ারম্যান বরাবরে পূর্ণাঙ্গ মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি কেন্দ্রের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ দাবির সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেন উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন, ফকিরহাট মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি, মৎস্য বাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নসহ একাধিক সংগঠন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ফকিরহাট মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি সভাপতি ও সোনাকাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক মজিবর ফরাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আকন, যুব লীগের আহবায়ক ফারুফ রায়হান তপু, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও সাংবাদিক ফোরামের সম্পাদক হাইরাজ মাঝী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা এখানের মৎস্যজীবীদের সুবিধার্থে এবং দেশের রাজস্বের স্বার্থে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ ও পাইকারী মৎস্য বাজার স্থাপন করেন। ফলে এ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশে বড় একটি অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখছে এখানকার মৎস্যজীবীরা। এখানকার জেলেদের বঙ্গোপসাগরসহ তৎসংলগ্ন বলেশ্বর, বিষখালী ও বুড়ীশ্বর নদী থেকে আহরিত সামুদ্রিক মাছ বিক্রি করেন পাথরঘাটা বিএফডিসিতে। এতে জেলে ও আড়তদার মালিকদের অনেক টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। অথচ ফকিরহাটে পূর্ণাঙ্গ বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হলে প্রতি বছর সরকার এখান থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করতে পারবে।
বক্তারা আরও বলেন, এখানে কয়েকশ মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। যার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে কয়েক হাজার জেলে ও শ্রমিক। শতকোটি টাকা দাদন দেয়া আছে আড়তদারদের। দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র না হলে অর্থনৈতিক ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে।