”আমরা শিক্ষার দিগন্তকে বিস্তারিত করব এবং এই বিস্তারের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতিসত্ত্বার বড় জায়গা তৈরি হবে। জাতিসত্ত্বার বড় জায়গা তৈরি করে আমরা দিগন্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে পৌঁছাব।”
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. সেলিনা হোসেন এ কথা বলেন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুরে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজ মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেলিনা হোসেন বলেন, “আমরা সাংস্কৃতিক বলয়ে নিজেদের জায়গাগুলোকে পরিশুদ্ধ করব। কখনোই কোনো খারাপ ভাবনায় নিজেদের পেছনে ফেরাব না। এটাই হোক আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের আয়োজন।”
বাংলা একাডেমির পরিচালক আরো বলেন, “আমি যেখানেই যাই সুযোগ পেলেই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ভাষণের একটি শব্দ বলি ‘আর কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারব না’। এই বাক্যটি হবে সবার জন্য। যে কাউকে তার অধিকারের জায়গা থেকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এটা হোক বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার একটা বড় দিগন্ত। এভাবেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাকে স্মরণের ভেতর দিয়ে আজকের যে প্রজন্ম এখানে আছে তারা সবাই তৈরি হবে। আর আমরা আন্তর্জাতিক দরবারে নিজেদের উচ্চস্থানে নিয়ে যাবে।”
বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা এলাকায় ডক্টর সেলিনা হোসেনের শ্বশুরবাড়ি। সেখানেই তার শ্বশুর ওয়াজেদ আলী খানের নামে হলতা ডৌয়াতলা শেখ ওয়াজেদ আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরগুনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক, বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পরিচালক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আনোয়ার হোসেন খান, বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সরকার, বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল আলম, কলেজ অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম টুকু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন তালুকদার, সাংবাদিক চিত্তরঞ্জন শীল প্রমুখ।
পরে তিনি মুজিব অঙ্গণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।