উজিরপুরে বামরাইল এলাকায় যমুনা লাইন বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মঠবাড়িয়া উপজেলার ভেচকি গ্রামের একই পরিবারের ছেলে ও পুত্রবধু।
নিহতরা হলেন- উপজেলার ভেচকী গ্রামের আব্দুস কুদ্দুস আকনের বড় ছেলে মো. নজরুল আকন (৪০) ও ছোট ছেলে রাকিব আকনের তিন মাসের অন্তঃস্বত্ব স্ত্রী জাহানারা বেগম (২২)।
স্বজনরা জানিয়েছেন, রাতেই তাদের জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হবে।
নিহত নজরুল আকনের ছোট ভাই রাকিব আকন বলেন, সাভারের নবীনগর এলাকায় আমরা দুই ভাই একসাথে একটি মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করি। বড় ভাই নজরুল আকন এর স্ত্রী বাড়িতে থাকেন। আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম ঢাকায় আমাদের সাথেই থাকেন। সে অন্তঃস্বত্বা হওয়ায় তাকে বড় ভাই বাড়িতে রেখে তার স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য বাড়িতে যাচ্ছিলো। আমি নিজে ওদের গাড়িতে তুলে দেই। রাতে কয়েকবার ফোন করেছিলানম কিন্তু হয়তো ও ঘুমিয়েছিলো তাই ফোন ধরেনি। সকালে আমি ওই বাসটি দুর্ঘটনার খবর পাই। বড় ভাই আর স্ত্রীকে এভাবে হারাবো বুঝতে পারিনি। তা হলে কখনোই আমি ওদের বাড়িতে পাঠাতাম না।
দুর্ঘটনায় নিহত জানাহানারা বেগমের নানী জানায়, আমার নাতনী অসুস্থ্য। তিন মাসের অন্তঃস্বত্বার খবর নাতনী আমাকে ফোনে বলেছিলো। দুর্ঘটনায় আমরা তিনজনকেই হারালাম। আল্লায় এমন শাস্তি ক্যান দিলো।
দুর্ঘটনা কবলিত যমুনা লাইন গাড়ির যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক মেডিকেল অফিসার ডা. মাঈনুল হোসেন বলেন, আমি গাবতলী থেকে ভান্ডারিয়া হয়ে কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য ওই গাড়ীতে টিকিট নিয়ে সি ৪ সিটে বসি। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলো। আমিসহ কয়েকজন তাবে বার বার গতি কমানোর জন্য বলি। তিনি চালকের আসনে বসে মাঝে মাঝে ঘুমাচ্ছিলো এমনটাও দেখেছি আমি। বামরাইল এলাকায় এসে সে গাড়িটিকে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে মেরে দেয়। নিমিষের মধ্যে গাড়িটি ধুমড়ে মুর্ছে যায়। গাড়িটি সড়কের বামপাশে পরে যায়। আর আমি ছিলাম গাড়ির ডান পাশে তাই আমার ও আমার পাশের অনেকেই সামান্য আঘাত পাই। বামপাশের অধিকাংশ লোক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। আমার শুধু কপাল ও গালে সামান্য আঘাত পেয়েছি।