বরগুনার পাথরঘাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ চন্দ্র সরকারের স্ত্রী ঊষা রানী (৬০) কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেশী মৃনাল মজুমদার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ চন্দ্র সরকার।
ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা পৌর এলাকার পাইকপাড়ায় রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে। ঊষা রানী পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (অবসরপ্রাপ্ত) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ চন্দ্র সরকারের স্ত্রী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ চন্দ্র সরকার বলেন, পাথরঘাটা পৌর এলাকার পাইকপাড়া এলাকায় প্রায় ৩০ বছর ধরে জমি ক্রয় করে বসবাস করছি, কিন্তু প্রতিবেশী নির্মল মজুমদার ও তার পরিবারের লোকজন ওই জমি থেকে আমাদের বিতাড়িত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বৃদ্ধ মানুষ এর প্রতিবাদও করতে পারছিনা। গতকাল আমাদের বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার চেষ্টা করে মৃনাল মজুমদার। এতে বাধা দিতে যান আমার স্ত্রী ঊষারাণী। এ সময় ঊষারানীকে দেখেই মৃনাল ক্ষেপে গিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। মৃনালের লাঠির আঘাতে ঊষারানী মাথায় ও কোমরে প্রচন্ড আঘাত পান। পরে তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ আরিফ বলেন, ঊষা রানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মাথায় ও কোমড়ে আঘাতের ঘটনায় এক্সরে দেওয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাফফর হোসেন বাবুল বলেন, ইতিপূর্বে ঊষা রাণী প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগটি আমাকে ফায়সালা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেমতে আগামীকাল উভয় পক্ষকে সালিশ বৈঠকে ডাকা হয়েছে। তবে ঊষা রানীকে মারধরের বিষয়টি সঠিক হয়নি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মৃনাল মজুমদারের ভাই মিলন মজুমদার বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, তবে যা হয়েছে তাতে আমার ছোটভাই মৃনাল অন্যায় করেছে। এটা সঠিক করেনি।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আবুল বাশার বলেন ভুক্তভোগী উষারানীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।