আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী ও বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাকনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেছেন কাকন।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার।
তিনি জানান, শুক্রবার পাথরঘাটা সাব রেজিস্ট্রি জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে শতাধিক মুসল্লির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শনিবার নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেছেন কাকন।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম সুমন পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
রফিকুল ইসলাম কাকন বলেন, আমি মসজিদ থেকে বের হওয়া মাত্রই ছাত্রলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুমন শতাধিক মুসল্লির সামনে আমার পথরোধ করে অশালীন কথাবার্তা বলে। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি যুদ্ধাপরাধ মামলার সাক্ষী। আমি নিরাপত্তা চেয়ে পাথরঘাটা থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। মামলার সাক্ষী এবং সুমনের একটি শালিসীর ক্ষোভে এ রকমের করতে পারে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুমন বলেন, আমি তাকে কোন হুমকি ধামকি দেইনি। তবে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এটার জন্য আমি দুঃখিত।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কাউন্সিলর কাকন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহম্মেদ সরকার বলেন, ওই মসজিদে আমিও নামাজ পড়ছিলাম। আমি সাথে সাথেই থানায় খবর দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।