বরগুনার পাথরঘাটায় বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লেঃ লুৎফর রহমানেরর অপসারণের দাবিসহ চারদফা দাবীতে মানববন্ধন করেছেন পাথরঘাটা বিএফডিসির বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীসহ সহস্ত্রাধিক মৎস্যজীবী।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকালে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের সামনে এ-মানববন্ধন করা হয়। পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর ৪ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ দাবির সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য বাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন।
দাবিগুলো হলো, তালতলী উপজেলার ফকিরহাট উপকেন্দ্র বন্ধ পূর্বক পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাথে যুক্ত করণ, পাথরঘাটা বিএফডিসি ব্যবস্থাপক লেঃ এম.লুৎফুর রহমানকে এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের চেয়ারম্যানের সরেজমিন পরিদর্শন এবং জেলেদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করা।
বক্তারা বলেন অাগামী ৭ দিনের মধ্যে উল্লেখিত দাবীগুলো মেনে না নেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ ক্রয় বিক্রয় বন্ধ করা হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সহসভাপতি আলম মোল্লা,পাথরঘাটা বিএফডিসি আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসাইন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতি বছর সরকার এখান থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করে। পাথরঘাটায় বৃহত্তম বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থাকা স্বত্বেও পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার ফকিরহাট এলাকায় একটি উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
তারা বলেন দ্রুত উক্ত তালতলী উপজেলার ফকির হাটের উপকেন্দ্রটি বন্ধ নট করা হলে পাথঘাটার মৎস্য ব্যবসায়ীদের অপুরোনীয় ক্ষতি হবে।
এসময়ে তারা ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থাপককে অপসারণ এবং ফকিরহাট উপকেন্দ্র বন্ধ না করা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ ক্রয় বিক্রয় বন্ধ রাখার ঘোষণাও দেন।
এব্যাপারে বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লে. লূৎফুর রহমান বলেন, আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দারসহ একাধিক আড়তদারদের কাছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা আদায়ের জন্য তাদেরকে লিখিতভাবে তাগিদ দেওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের।
ফকিরহাট উপকেন্দ্রের বিষয় তিনি বলেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকেই করা হয়েছে। এখানে আমার ব্যক্তিগত কাজ বা সামর্থ্য নেই।