প্রতিশােধ জানি তুই রক্তে মাংসে গড়া মানব নয়
তবুও তুই যেন আবেগ-অনুনয়ের বিধ্বংসী এক সন্তান।
শুনে রাখ, তােকে পরিপূর্ণতা মােরা দিয়েছি
যার কারণে চেতনার কোলে সাহস লালিত হয়েছিল
সেই শেখ মুজিব হত্যার প্রতিশােধ মােরা নিয়েছি।
আজ তাই মাের লেখ্য চরনে-চরনে অব্যাক্ত আক্ষেপরবেই
মরণঘাতি বুলেট তােকে কৈফিয়ত দিতে হবেই।
তাের কারণে হারাতে হলাে শেখপ্রাণ
মাের হস্তাক্ষরের কৃষ্ণকালি-
যেন নাকের ডগায়, আভাস জাগায়
হত্যাকান্ডের তাজা টগবগা রক্তঘ্রান।
হে বুলেট- তুই কোন দোষে ট্রিগারের ভরে বন্দুক হতে বেরলি, হারামজাদা।
কেন বিধলী স্বাধীনতার স্থাপতি,বর্জকণ্ঠী,১৬ কোটি মানুষের নয়নমনি
বঙ্গবন্ধুর সাহসের শহর বুকে?
এটা কি পেয়েছিস হাঁসি, তামাশা, ধাঁধা।
কি, অস্বীকার করছিস!
ধানমন্ডির ইট-বালুতে গড়া ৩২ নাম্বার সড়কের বিষ্ডিংটা বলবে,
সেই নিস্তব্ধ রাতে দেয়ালে গড়ানাে বুদবুদে লাল বিসর্জন বলবে,
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্ নেছার রক্তমাখা অপরাজিত শাড়ির আঁচল বলবে।
আরাে বলবে- শিশু রাসেলের মায়ের কাছে যাবার দৃঢ় আকৃলতা
তাের উত্তেজনায় ভয়ংকর আনন্দ-আওয়াজের স্মৃতিকথা।
চুপকরে থাকিসনা। উত্তর দে…
প্রহর’ তুইও কি স্বার্থপর, তাের কি একটুও কষ্ট হয়নি?
রেসকোর্স সেদিন সর্বশান্ত হয়ে ঘুমিয়েছিলি, তাের সাহসী বীরকে রেখে
নাকি মিথ্যে ভান করেছিলি কুলাঙ্গার হায়নাদের বর্বরতা দেখে।
আক্ষেপরা দাঁত খিটমিটিয়ে, চোখ রাঙিয়ে
চিৎকার করে বলে-
নাকি সবকিছুই ধোঁকাবাজির করাল গ্রাসে চলে।
কলমের আঁচে আর কত ঝাঁঝরা করবাে সাদা কাগজের মরদেই
আর কত লিখবাে দস্যের সেই বেহায়াপানা
যারা ১৫ আগস্ট মুজিব পরিবার করেছে হানা।
লিখেছেন : নাঈমুল ইসলাম