মকবুল এখন আর গৃহহীন নন, তাকে অন্যের গলগ্রহ হয়ে আর কারো কুঁড়ে ঘরে থাকতে হবে না। মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে পাকা ঘর পেয়েছেন মকবুল।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) ঘরটি মকবুলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সহায় সম্বলহীন মকবুল হাওলাদার (৭৫)। বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামে।
তার চার ছেলে, তারা ঢাকায় কাজ করেন। তারা কেউ বাবার খোঁজ-খবর করেন না। বিপত্নীক মকুবলের একমাত্র সহায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে। জীবিকার অন্বেষণে অসুস্থ শরীর নিয়ে লাঠির সাহায্যে মেয়ের কাঁধে ভর করে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করেন মকবুল।
গত বর্ষায় তার কুঁড়ে ঘরটি ভেঙে যায়। সেই থেকে মেয়ে নিয়ে তিনি ঠাঁই নেন প্রতিবেশী খালেক হাওলাদারের গোয়াল ঘরে।
মকবুলের দুর্দশার এ খবর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার।
তিনি তাৎক্ষণিক মকবুলের পাশে দাঁড়ানোর, তাকে ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বেতাগী পৌরসভার মেয়র এবিএম গোলাম কবির।
এ প্রসঙ্গে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আমরা সব সময়ই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। গণমাধ্যমে খবর দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে পুনাকের উদ্যোগে আমরা ওই বৃদ্ধ ও তার মেয়ের পাশে দাঁড়াবো। আজ আমরা তাকে একটি ঘর করে দিতে সক্ষম হয়েছি।’