ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ এসে পৌঁছেছে বরগুনায়।
সোমবার (১৩ মার্চ) রাত পৌনে দশ টায় লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যানে করে তার কফিনবন্দি মরদেহ পৌঁছায় বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে।
এর আগে সোমবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মরদেহ আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমানবন্দরের ৮নম্বর গেট (হ্যাঙ্গার গেট) দিয়ে বের হয়ে গ্রামের বাড়ি বেতাগীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল দশটায় জানাজা সম্পন্ন করে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদীর পাশে তাকে দাফন করা হবে।
ইতোমধ্যেই পারিবারিক গোরস্থানে কবর প্রস্তুত করা হয়েছে। হাদিসুরের বাবা আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে রোমানিয়া থেকে নাবিক হাদিসুর রহমানের মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে দুপুর ১টা ১১ মিনিটে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলতি মাসের ২ তারিখে ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ নিহত হন। ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়। গত ৯ মার্চ ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়, তবে তখন হাদিসুর রহমান আরিফের মরদেহ আনা সম্ভব হয়নি। তার মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল।