ইস্তাম্বুলে তুষারাপাতের কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় নিহত নাবিক হাদীসুরের বাড়িতে ফেরা আরও বিলম্বিত হচ্ছে।
দীর্ঘ ১১ দিন পর রবিবার (১৩ মার্চ) হাদিসুরের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা ছিল। রাত ৮টায় তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছাবে এমনটাই জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
কিন্তু ইস্তাম্বুলে তুষারাপাতের কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় হাদিসুরের মরদেহ পৌঁছতে বিলম্বিত হচ্ছে।
স্বজনরা মরদেহ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও তাঁকে নিয়ে কখন নাগাদ দেশে পৌঁছবে সে সময়টা এখনো অনিশ্চিত।
দেশে ফিরে হাদিসুরের মরদেহ নিয়ে আসার কথা রয়েছে গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বাড়ির পেছনের মাঠে জানাজা শেষে দাদা-দাদীর কবরের পাশে চিরনিন্দ্রায় শায়িত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। ইতোমধ্যে সেখানে কবরের নমুনা করে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃিদ্ধ। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ রকেট হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় নিহত হন নাবিক হাদিসুর রহমান আরিফ।
নিহত নাবিক হাদিসু রহমান বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।