বরগুনায় যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় গৃহবধূকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী সাগর চন্দ্র মালীর (২৭) বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ প্রিয়াংকা মালীকে (২৩) উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে। বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্ক থেকে বছরখানেক আগে বদরখালী ইউনিয়নের গৌতম চন্দ্র মালীর ছেলে সাগর চন্দ্র মালীর সঙ্গে বিয়ে হয় পিরোজপুরের জয়পুর এলাকার হরিচাঁদ মালীর মেয়ে প্রিয়াংকার। বিয়ের পর প্রিয়াংকার পরিবার ৩ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দিয়ে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠায়।
তবে বিয়ের পর থেকেই চাকরির কথা বলে সাগরের পরিবার প্রিয়াংকার পরিবারের কাছে আরোও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় প্রিয়াংকাকে প্রায়ই মারধর করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
প্রিয়াংকার বাবা হরিচাঁদ মালীর অভিযোগ করে বলেন, মেয়ে আমাকে টাকার কথা বললে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু প্রিয়াংকার শশুর, শাশুরি ও তাদের ছেলে আমাকে জানায় ৫ লাখ টাকা না দিলে তাদের বাড়িতে সংসার করতে পারবে না প্রিয়াংকা।
তিনি আরো বলেন, ওরা প্রিয়াংকাকে মারধর করে, আমি খবর পরে মেয়েকে দেখতে গেলে ওরা প্রিয়াংকার সাথে দেখা করতে দেয়নি এবং আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে বের করে দেয়।
বরগুনা সদর সার্কেল মেহেদী হাছান বলেন, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।