ডিএসএলআর ক্যামেরায় অটো মোডের পাশাপাশি মেন্যুয়াল মোড থাকে। অটো মোডে গড়পড়তার ছবি ওঠে। এখানে ফটোগ্রাফারের কারিশমা থাকে না। কিন্তু মেন্যুয়াল মোডের ছবি হয় দুর্দান্ত। যদি ঠিক মতো এক্সপোজার, শাটার, অ্যাপারচার এবং আইএসও-এর হিসেব মেলানো যায়। কেননা, ডিএসএলআর ক্যামেরায় ওই চারটি অপশন ঘুরিয়ে সাধারণ একটি ছবিকেও অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা যায়। আজ আপনাদের জানানো হবে ক্যামেরায় সঠিক অ্যাপারচার সেট করার কৌশল।
প্রথমেই জানুন অ্যাপারচার কী?
অ্যাপারচার শব্দের অর্থ খোলা। ছবি তোলার সময় লেন্সের ছিদ্র কত ছোট অথবা বড় হয়ে খুলবে তা নির্ণয়ের জন্য অ্যাপারচার ব্যবহার হয়। এই ছিদ্র থেকে আলো সেন্সরে প্রবেশ করলে ছবি তোলা সম্ভব হয়। f/ চিহ্নের মাধ্যমে অ্যাপারচার বোঝানো হয়। এই সংখ্যা যত ছোট হয় লেন্সের ছিদ্র ততই বড় হয়।
সঠিক অ্যাপারচার নির্ধারণ করবেন যেভাবে
যেহেতু লেন্সে ছিদ্রের আকার বড় হলে লেন্সে বেশি আলো প্রবেশ করবে তাই কম আলোতে বড় অ্যাপারচারে ছবি তোলা হয়ে থাকে। কম আলোতে ছবি তোলার সময় f/2.8 অথবা f/1.8 এর মতো অ্যাপারচার ব্যবহার করুন।
তবে দিনের আলোতে ছবি তোলার সময় লেন্সে ছোট ছিদ্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই জন্য f/11 এর মতো অ্যাপারচার ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আরও ছোট করতে পারেন লেন্সের অ্যাপারচার।
তবে শুধু আলো নিয়ন্ত্রণ নয়, ছবির ডেপথ অব ফিল্ড নির্ভর করে অ্যাপারচারের উপরে। ছবি তোলার সময় যত বড় ডেপথ অ্যাপারচার ব্যবহার হবে সেই ছবিতে তত শ্যালো ডেপথ অব ফিল্ড পাওয়া যাবে। অর্থাৎ পোট্রেট ও অন্যান্য ছবির ব্লার ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য দায়ী অ্যাপারচার। এই ধরনের ছবি তোলার জন্য লেন্সে বড় ছিদ্র প্রয়োজন। অন্যদিকে ল্যান্ডক্সেপের মতো ছবি তোলার জন্য ছোট অ্যাপারচার ব্যবহার করুন।
যদিও ভালো মানের ছবি তুলতে শুধু অ্যাপারচারের ওপর নির্ভর করলেই চলে না। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক্সপোজার, শাটার স্পিড এবং আইওএস-এর কারিশমা। এই চারটি বিষয়ের জটিল সমীকরণে সহজভাবে লেন্সবন্দি হয় ছবি।