বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমানউল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর ডজন খানেক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) এ অভিযোগ করেন বেতাগী উপজেলার অর্ধশতাধিক স্বাস্থ্য মাঠকর্মী।
লিখত অভিযোগে বলা হয়, বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমানউল্লাহ আল মামুন সকল প্রকার বিল, ভাউচারে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়াও লিখত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি, অশালীন ব্যবহার, স্টাফদের হয়রানি ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়াসহ আরও একাধিক অভিযোগ করা হয়।
লিখিত অভিযোগে মাঠকর্মীদের দাবি, আমানুল্লাহ আল মামুন একজন অসাধু, ভয়ংকর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তাই তার হাত থেকে রেহাই পেতে অনতিবিলম্বে তার অপসারণ ও বদলির দাবি জানান মাঠকর্মীরা।
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পোশাকের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে সরকার। সেই টাকা থেকেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমানউল্লাহ আল মামুনকে চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ পেয়েছি। কিছুদিন আগে খাদ্য পুষ্টি সচেতনতা সম্পর্কে কর্মশালার জন্য সরকার ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমানুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয়। আমার নিচের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের অসাধু স্বার্থ হাসিলের জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।