বদলির আদেশ উপেক্ষা করে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে পুরোনো কর্মস্থলে এসে গোপনে অফিস করার অভিযোগ উঠেছে বেতাগীতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ২৩ মে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বেতাগীতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমকে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার বদলি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে ৩০ মে ২০২২ তারিখের মধ্যে তাঁকে নতুন কর্মস্থল বান্দরবানের থানচি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগদান করতে বলা হয়। অন্যথায় ৩০ মে ২০২২ তারিখের অপরাহ্ণ থেকে বর্তমান কর্মস্থল হতে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আদেশে উল্লিখিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও তিনি তাঁর নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। বরং পুরোনো কর্মস্থলে এসে গোপনে অফিস করছেন।
বেতাগীতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগম গোপনে অফিস করছেন এমন খবর পেয়ে বুধবার তার কার্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, শাহিনুর বেগমের অফিস কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। পাশের অন্য একটি রুমে তিনজন মহিলা বসে আছেন।
কথা বলার উদ্দেশ্যে তাদের কাছে গিয়ে দেখা যায়, শাহিনুর বেগম মুখে ওড়না পেঁচিয়ে সাধারণ একটি চেয়ারে বসে অফিসের কাজ করছেন। এ সময় সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। স্ট্যান্ড রিলিজের পরও তিনি কীভাবে অফিস করছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেদকের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি রুম থেকে বের হয়ে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেতাগীতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত কয়েকজন জানান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমকে গত ২৩ মে বান্দরবানের থানচিতে বদলি করা হয়। ৩১ মে মঙ্গলবার বরগুনা জেলা অফিস থেকেও তাঁকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়। তারপরও তিনি কোন আইনে অফিস করতে এসেছেন তা তাদের অজানা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে বরগুনা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন নাহার মুন্নির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, বেতাগীতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনুর বেগমকে বান্দরবানের থানচিতে বদলি করা হয়েছে। গত ৩০ মে তারিখের মধ্যে তাঁর বেতাগী কর্মস্থল ত্যাগ করার কথা। বদলি আদেশে উল্লেখিত সময়সীমার পর কোনো অবস্থাতেই তার অফিস করার সুযোগ নেই। আমি এই বিষয়ে জেলা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব।’