ঢাকা-বরগুনা-আমতলী যাত্রীবাহি লঞ্চ বরগুনা ও আমতলী এসে বিকালে ছেড়ে যাবার রুটিন থাকলেও তা সকালেই ছেড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি কেবিন বুকিং দেয়া যাত্রীদেরও না নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ।
বরগুনায় শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) যাত্রী নিয়ে এমভি রয়েল ক্রুজ ঢাকা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে খালি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। একই অবস্থা আমতলী-ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ সুন্দর বন-৭ ও শতাব্দী বাধন লঞ্চের।
শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে বরগুনা ও আমতলীতে আসা ৪টি লঞ্চই শুক্রবার বিকালে ঢাকা যাবার রুটিন রয়েছে। তাই ৪টি লঞ্চের কেবিনে যাত্রীরা বুকিংও দিয়েছেন। অথচ তাদের না নিয়েই এই সকল লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে শুক্রবার সকালেই ছেড়ে গেছে।
ঈদের সময় যাত্রীদের না নিয়ে এভাবে লাঞ্চ ছেড়ে যাওয়ায় ঢাকার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঢাকায় তারাও স্বজনদের সাথে ঈদ করতে যাবার প্রস্তুতি নিয়ে কেবিন বুকিং দিয়েছেন। লঞ্চ মালিকদের এহেন প্রতারনা মূলক আচরনে তাই যাত্রীরা ক্ষুব্ধ।
বরগুনার সদর রোডের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, রয়েল ক্রুজ লঞ্চে আমাদের কেবিন বুক করা ছিল তারা আমাদের না জানিয়ে সকালে ছেড়ে গেছে। আমাদের জরুরী ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল।
আমতলীর যাত্রী শামিম ও সাহিদা বলেন, আমাদের না নিয়ে এমনকি না জানিয়েই লঞ্চ চলে গেছে। আমতলীর আর কয়েকজন যাত্রী জানান, লঞ্চ যাওয়ার কয়েকঘন্টা অতিবাহিত হলেও তাদের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি বুকিংয়ের টাকাও ফেরৎ পাননি।
বরগুনা লঞ্চ ঘাটে সিদ্দিক মিয়া বলেন, অনেক যাত্রী ঢাকা যাওয়ার জন্য ঘাটে এসেছে। তারা জানেনা লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এখন ঈদের সময় যাত্রীরা কিভাবে যাবে।
আমতলী লঞ্চ ঘাটের দায়িত্বে থাকা শহীদ মিয়া বলেন, দশ বিশজন যাত্রীর ভোগান্তির জন্য মালিক পক্ষ বেশি যাত্রী নষ্ট করবে না। তাই লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
এব্যাপার জানতে লঞ্চের মালিকদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বরগুনার নৌঘাট কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ অন্যায়। যেখানে ঢাকা থেকে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যাবস্থা করা হয়েছে সেখানে অধিক লাভের আশায় যাত্রীদের সাথে কেন মালিকরা এমন আচরণ করবেন?
তারা এভাবে যাত্রী না নিয়ে যেতে পারেন না।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, এভাবে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়টা ঠিক হয়নি। লঞ্চ মালিকদের সাথে কথা বলে জানছি কেন তারা এভাবে বুকিং দেয়া যাত্রীদের রেখে লঞ্চ ছেড়ে দিলেন।
বরগুনা নৌবন্দর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টায় বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে একটি লঞ্চ যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে যাবে।