বরগুনার বিভিন্ন বাজারে ও ফেরি করে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রঙ মেশানো তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। যা খেয়ে ইতোমধ্যে নারী শিশুসহ অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকালে বরগুনা শহরের লাকুরতলা এলাকায় কেমিক্যাল মেশানো তরমুজ বিক্রি করার সময় ফারুক (৫০) নামে এক বিক্রেতাকে আটক করা হয়। পরে তাকে তিন হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে লাকুরতলা মুক্তিযোদ্ধা পল্লী এলাকার সবুজ নামে এক ক্রেতা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরগুনায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরগুনার সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস।
ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তা সবুজ জানান, কেমিক্যাল যুক্ত তরমুজ ক্রয় করে তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। না বুঝে ওই তরমুজ খেয়ে ইতোমধ্যে পরিবারের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সবুজ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ভ্যান থেকে তরমুজ কিনে পরে জানতে পারি তাতে কেমিক্যাল মেশানো। এরপর স্থানীয় লোকজন নিয়ে ভ্যানের বিক্রেতার কাছে গিয়ে সত্যতা পাই। বিষয়টি ৯৯৯ এ কল করে জানাই। একই সাথে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরগুনাকেও জানাই৷
অভিযুক্ত তরমুজ বিক্রেতা ফারুক বলেন, তরমুজে আমি কিছু মেশাইনি। আমি বরগুনা বাজারের মেসার্স কালাম এন্ড খান ট্রেডার্স আড়ত থেকে পাইকারি ক্রয় করে ভ্যানে ফেরি করে তরমুজ বিক্রি করি। যা মেশানোর ওই আড়ত থেকে মিশিয়েছে বা তারাই ভালো জানে।
এবিষয়ে মেসার্স কালাম এন্ড খান ট্রেডার্স আড়তের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, তরমুজগুলো আমার আড়তেরই। তবে কেমিক্যাল কোথা থেকে এলো এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরগুনার সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস বলেন, কেমিক্যাল মেশানো তরমুজ বিক্রির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ফারুক নামে এক তরমুজ বিক্রেতাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং কেমিক্যাল মেশানো তরমুজগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে বাজারে তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে।