বরগুনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে যাত্রা প্যান্ডেল তৈরি করে চেয়ার বিক্রি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের আয়লা বাজার কমিটি এ আয়োজন করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়লা বাজার কমিটি বুধ ও বৃহষ্পতি এই দুই দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বুধবার রাত ১০টার পর শুরু হবে নাটক ও পরে গভীর রাতে যাত্রাপালা ও নাঁেচর আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমেধ্য যাত্রা ও নৃত্যশিল্পীরা এসে আয়লা কলেজে অবস্থান নিয়েছেন। যাত্রা পালা দেখার জন্য গত সোমবার থেকে তারা এলাকায় মাইকিং করে।
মাইকিংয়ের জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়লা বাজার কমিটির উদ্যোগে নাটক ও ‘কাসেম মালার প্রেম’ নামের যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করা হবে। এছাড়াও বিশেষ নাঁেচর আয়োৃজন রয়েছে। অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে মাইকিংয়ে বলা হয়।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করতে এনআই আলম কিন্ডারগার্ডেনের সামনে মাঠে টিনের বেড়া দিয়ে বিশালাকারে প্যান্ডেল করা হয়েছে। চারদিক থেকে টিন দিয়ে আটকে ছোট একটি প্রবেশ গেট রাখা হয়েছে। দশনার্থিরা প্রবেশ করে চেয়ারে বসলেই দিতে হবে টাকা। সামনে দিকে সাড়ির চেয়ার ২০০ টাকা এবং পিছনের দিকে চেয়ারের জন্য একশ টাকা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে যাত্রাপালায় চেয়ার বানিজ্যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় অনেকেই বিষয়টিকে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা হিশেবেই দেখছেন। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মৃধা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে পুজি করে নাটকের নামে যাত্রাপালা প্রদর্শণ, আপত্তিকর নাঁেচর আয়োজন ও চেয়ার বানিজ্য প্রতিটি বিষয় অবমাননাকর। আমি বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করি।

অনুষ্ঠানের মাকিংয়ের জন্য কমিটির হাতের লেখা প্রচারপত্র
অনুষ্ঠানের আয়োজক আয়লা বাজার কমিটির সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি কল রিসিভ করেননি।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, প্যান্ডেল করে টাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে অনুষ্ঠান করার কোনো সুযোগ নেই। আমি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আমার কাছে ওনারা একটা সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন দিয়েছিলেন। যদি সেখানে আপত্তিকর কিছু হয় তবে জেলা প্রশাসন চাইলে আমরা পদক্ষেপ নেব।
মাইকিংয়ের ভিডিও