‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হবে যেতে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বরগুনায় সচেতনতা মূলক র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সহযোগিতায় জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে র্যালী বের হয়। র্যালীটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনঃ হাসপাতাল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। পরে হাসপাতালের মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার সভাপতিত্ব করেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সোহরাব উদ্দীন খান। বক্তব্য রাখেন- গাইনী বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাসকিয়া সিদ্দিকা, স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান, সাংবাদিক মনির হোসেন কামাল, নাসিং ইনিষ্টিটিউটের পরিচালক মরিয়ম আক্তার, সিনিয়র সিষ্টার জাকিয়া সুলতানা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব মায়েদের অধিকার। একজন সুস্থ মা’ই সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারেন। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। সন্তান জন্মদানে মায়ের অনেক অসুবিধা বা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এগুলোর চিকিৎসা যা সঠিক সময় ব্যবস্থা নেয়া পরিবারের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব।
বক্তারা আরও বলেন, গর্ভধারণ এবং প্রসব জনিত জটিলতায় প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার নারীর মৃত্যু হয় এবং ২৬ লক্ষ মৃত সন্তান জন্মসহ প্রায় ৩০ লক্ষ নবজাতক মারা যায়। প্রতিদিন বিশ্বে নিরাপদ মাতৃত্বের অবহেলায় ৮শ’ জন মা’কে জীবন দিতে হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪ হাজার ৭শ’ ২০ জন মা এবং প্রতিদিন গড়ে ১২-১৩ জন মা শুধু মাত্র প্রসব কালীন এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবার অবহেলা আর অসতর্কতার কারনে মৃত্যুবরণ করেন।
মাতৃমৃত্যুর কারণ হিসেবে বক্তার বলেন, মাতৃমৃত্যুর প্রধান দুটি কারণ রক্তক্ষরণ এবং একলাম্পশিয়া। তবে এদুটি প্রতিরোধযোগ্য। এছাড়া উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস পরক্ষভাবে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারন।