তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ঘরে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করার মামলায় আওয়ামীলীগ নেতার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম এ আদেশ দিয়েছেন।
আসামী হল, বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে আউয়াল। তিনি ওই ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, ২৩ এপ্রিল সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বারের ভাইর ছেলে জহিরুল ইসলামের ক্ষেতের মুগডাল খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয় আউয়ালের সঙ্গে। ওই দিন বিকাল ৫ টায় আউয়াল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তার বসত ঘরে ডাকেন। উভয়ের মধ্য প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আউয়াল উত্তেজিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে খুনের উদ্দেশ্য লোহার রড ও কোদাল দিয়ে মাথায় ও পায়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রিপন বাদী হয়ে মামলা করেন। সেই মামলায় মেডিকেল সার্টিফিকেট তলব দিয়ে রোববার ওই ম্যাজিস্ট্রেট আওয়ামীলীগ নেতা আউয়ালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়। আউয়াল মঙ্গলবার সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার বলেন, আজকে আমি মহা খুশি। বিচারক ন্যায় কাজ করেছেন। আমার বিশ্বাস আমি শেষ বয়সে ন্যায় বিচার পাব। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এই স্বাধীন দেশে আমাদের মার খাচ্ছি। আমি ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আউয়াল তার মেয়েদের দিয়ে আমার নাতিদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছে।
আউয়ালের আইনজীবী মো. নুরুল আমীন বলেন, আমার মক্বেল মুক্তিযোদ্ধাকে মারেনি। তার নাতিরা অপরাধ করেছে সে জন্য মামলা করেছে। ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার ঝামেলা হয়েছিল।