বরগুনায় বারবার অগ্নিকাণ্ডে বাজার পুড়ে ছাই হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকেই দুষছেন সবাই। ভবিষ্যতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও যেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয় সেজন্য বরগুনার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীতকরনসহ আরো দুটো নতুন ইউনিট সংযুক্ত করার পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থার আধুনিকায়নের দাবীতে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ মে) বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ৭ দফা দাবীতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি। রবিবার প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক, জাতীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌর মেয়রের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
দাবীগুলো হচ্ছে- বরগুনার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনকে আরও দুটো ইউনিটসহ দ্বিতীয় শ্রেনী থেকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নীতকরন, নিউ পৌর সুপার মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা, ঋণগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আগামী এক বছরে ঋণ পরিশোধ বা কিস্তি দিতে চাপ প্রয়োগ না করা, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ দিয়ে পুনরায় ব্যবসা চালু করতে সহায়তা করা, প্রশাসন ও পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় পুনরায় পাঁকা বা সেমি পাঁকা অবকাঠামো তৈরী করা, ব্যবসায়ীদের বীমার আওতায় নিয়ে আসা এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করে সহায়তা দেওয়া।
নাগরিক অধিকার সংরক্ষন কমিটির সভাপতি অ্যাড. আনিচুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামালের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা আ. মোতালেব মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা সুখ রঞ্জন শীল, পাবিলক পলিসি ফোরামের আহবায়ক হাসানুর রহমান, সাংবাদিক চিত্ত রঞ্জন শীল, কাউন্সিলর হোসনেয়ারা চম্পা, রইসুল আলম রিপন, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাফর হাওলাদার, মহিলা পরিষদের নেত্রী বেবী দাস, ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দীন, পূজা পরিষদের সম্পাদক খোকন কর্মকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, ১৯৯১ সালে আন্দোলন করে বরগুনার নাগরিকরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দাবী আদায় করলেও এখনো এই স্টেশনটি প্রথম শ্রেনীর স্টেশনে উন্নীত হয়নি। প্রতি বছর অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে একটি ইউনিট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা। আরও দুটো ইউনিটসহ আধুনিক অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি এবং প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন।