প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের দাবিতে ঢাকার উত্তরা থেকে আসা জামালপুরের সেই তরুণী শিখা আক্তার মৌ (২৫) কে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হোসেন তাকে জামিন দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেছিলেন ওই তরুণীর বড় ভাই মো. শিপন মিয়া।
তরুণীর আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কিসলু আরও জানান, তরুনীর বিরুদ্ধে আনা ১২ অভিযোগই ছিলো জামিনযোগ্য।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. সাইমুল ইসলাম রাব্বি জানান, জামিন শুনানীতে আমরাও অংশ নিয়েছিলাম। আদালত আসামিকে তার ভাইয়ের জিম্মায় জামিন দিয়েছেন।
ওই তরুণীর ভাই মো. শিপন মিয়া বলেন, মাহমুদুল হাসান সব কিছু জেনে আমার বোনের সঙ্গে প্রেম করে। আমার বোনকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। আমার বোন বিবাহিত তাও মাহমুদুল হাসান জানত। সব কিছু জেনে মাহমুদুল হাসান আমার বোনকে দিয়ে গত বছর ২২ অক্টোবর স্বামীকে তালাক দেওয়ায়। মাহমুদুল হাসানের আশ্বাসে আমার বোন তাদের বাড়িতে এসেছে। এখন মাহমুদুল হাসান আমার বোনকে অস্বীকার করে। আমরাও আইনি লড়াই করব।
ওই তরুনী জানিয়েছেন, তিনি আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, ২৮ এপ্রিল জামালপুরের তরুণী ঢাকার উত্তরা থেকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী বাজার সংলগ্ন কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে আসনে। এ সময় ওই তরুণী দাবি করেন মোশাররফ হোসেনের ছেলে রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা করে। এ সময় মো. মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলার পর মাহমুদুল হাসান গা-ঢাকা দেয়। এর পর ওই তরুণী চান্দখালী মাহমুদুল হাসানের গ্রামের বাড়িতে চলে আসে।
ওই তরুণী তার প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ সময় মাহমুদুল হাসানের পরিবারের কাউকে বাড়িতে না পেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয় ওই তরুণী। একপর্যায়ে প্রেমিক হাসানের মামাকে জিম্মি করে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে জামালপুরের ওই তরুণী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় মাহমুদুল হাসানের বাবা বৃহস্পতিবার আদালতে ওই তরুণীকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় শুক্রবার ভোরে ওই তরুণীকে আটক করে বেতাগী থানা পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।