প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের দাবিতে ঢাকার উত্তরা থেকে আসা জামলপুরের তরুণি শিখা আক্তার মৌয়ের জামিন আবেদন গ্রহন করেছে আদালত।
সোমবার বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেছেন শিখা আক্তার মৌয়ের বড় ভাই মো. শিপন মিয়া। মৌয়ের পক্ষের আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, মঙ্গলবার বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত—১ এ মৌয়ের জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ নাহিদ হোসেন আবেদনটি গ্রহন করে আগামীকাল মঙ্গলবার আসামীর উপস্থিতিতে জামিন আবেদনের শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।
কিসলু বলেন, মৌয়ের বিরুদ্ধে যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে সবগুলোই জামিনযোগ্য। আমরা বিষয়টি আমি আদালতকে বোঝাতে সমর্থ হয়েছি। আদালত আমাদের আবদেন গ্রহন করেছে এবং শুনানীর আদেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার শিখা আক্তার মৌকে আদালতে স্ব—শরীরে হাজির করে জামিন শুনানী হবে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, জামিন শুনানীতে অংশ নিয়ে আমরা জামিনের আইনগত বিরোধীতা করব।
গত ২৯ এপ্রিল জামালপুরের তরুণি ঢাকার উত্তরা থেকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী বাজার সংলগ্ন কৃষি ব্যংক কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে আসনে। এসময় মৌ দাবি করেণ, মোশাররফ হোসেনের ছেলে রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যায়নরত মোঃ মাহমুদুল হাসানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলার পর মাহমুদুল সম্প্রতি মৌয়ের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে উত্তরা এবং গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। পরে শিখা আক্তার মৌ তার প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এসময় মাহমুদুল হাসানের পরিবারের কাউকে বাড়িতে না পেয়ে আত্মহত্যার হুমকী দেয় মৌ। একপর্যায়ে প্রেমিক হাসানের মামাকে জিম্মি করে স্থানীয়দের সহায়তায় বাসার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে জামালপুরের ওই তরুণি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় মাহমুদুল হাসানের বাবা গত বৃহষ্পতিবার বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের মৌকে আসামী করে মামলা করেন। ওই মামলায় গত শুক্রবার ভোরে মৌকে আটক করে বেতাগী থানা পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।