বরগুনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বারকে আওয়ামী লীগ নেতার বসত ঘরে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকালে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রিপন বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম মেডিকেল সার্টিফিকেট তলব সাপেক্ষে ২২ মে আদেশের জন্য রেখেছে।
মামলার আসামীরা হল- বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে আউয়াল, তার স্ত্রী চম্পা এবং সোহরাফ হাওলাদারের ছেলে হারুন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৩ এপ্রিল সকালে আউয়ালের গরু মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বারের ছেলে জহিরুল ইসলামের ক্ষেতের মুগডাল খায়। বিষয়টি নিয়ে জহিরুলের ছেলে ছোটন প্রতিবাদ করে। ওই দিন বিকালে আউয়াল মুক্তিযোদ্ধাকে তার বাড়িতে ডাকেন। উভয়ের মধ্য প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আউয়াল মুক্তিযোদ্ধাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় পিটান দেয়। এতে মুক্তিযোদ্ধার বাম বাহুতে পড়ে মারাত্ত্বক হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। পরে হারুন ও চম্পা রড দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে জখম করে।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার বলেন, আমি ১৯৭১ সালে সম্মুখ যুদ্ধ করে বেঁচে আছি। আজ ৭৫ বছর বয়সে আউয়াল ও তার লোকজন তুচ্ছ ঘটনায় আমাকে কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে। আমি বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব বলেন আপোস হয়ে যেতে।
আউয়াল বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধাকে মারিনি। ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। আমরা আপোস হতে চাই।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ বলেন, তারা যে মামলা করতে এসেছিল একজন ছিল নাবালক। আমি বলেছি আপোস হলে ভাল হয়। মামলা নিতে চেয়েছি। পরে তারা আর থানায় আসেনি।