ঢাকারবিবার, ২রা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৩৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার, স্থায়ী হলো মাথা গোঁজার ঠাঁই

মহিউদ্দিন অপু
এপ্রিল ২৬, ২০২২ ৫:৫৮ অপরাহ্ণ
পঠিত: 137 বার
Link Copied!

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র বরগুনার সদর উপজেলার খাজুরতলা আশ্রায়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে জমিসহ ৪১১টি ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বরগুনা জেলার সদর উপজেলার খেজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

একই সাথে প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরের গরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সঙ্গেও ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ভূমি ও ঘরহীন পরিবারের মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি বাড়ি হস্তান্তর করেন। যার মধ্যে বরগুনা সদরের খাজুরতলা আশ্রায়ণ প্রকল্পে তৃতীয় পর্যায়ে জমিসহ ৪১১টি ঘর হস্তান্তর করেন। হস্তান্তর করা ৪১১টি ঘরের মধ্যে ৫০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে আজ থকে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেল পরিবারগুলো।

জানা যায়, বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা করা হয় এবং তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ করে জমি ও একটি করে ঘর প্রদান কার্যক্রম চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বরগুনা জেলার ছয় উপজেলায়ই আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

ইতোমধ্যে বরগুনায় প্রথম পর্যায়ে ২৩২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৩টি, তৃতীয় পর্যায়ে ৭২৫টি ঘরের মধ্যে ৪১১টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ৪১১টি ঘর হস্তান্তর করেন। বাকিগুলোর কাজ চলছে। যেখানে বরগুনা সদরের খাজুরতলা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মোট জমি রয়েছে ১১.৪০ একর। এরই মধ্যে এখানে নির্মিত হয়েছে ৩২৯টি ঘর। আরও ১৫০টি ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে এটি হবে দেশের সব চেয়ে বড় আশ্রয়ণ কেন্দ্র।

আরও জানা যায়, খাজুরতলা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে উপকারভোগী হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছেন ২২জন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সদস্য, ১০জন ভিক্ষুক, ২০জন শারীরিক অক্ষম ব্যক্তি, ২৮জন স্বামী পরিত্যক্তা নারী, ৪১জন হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যসহ অন্যান্য সদস্য।

উপকারভোগীরা এখানে দুই শতাংশ জমিসহ অর্ধপাকা দুই কক্ষের ঘর পায়েছেন বিনামূল্যে। রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়াও প্রতিটি ঘরে রয়েছে গোসলখানা, টয়লেট ও রান্না ঘর। গৃহসহ জমির দলিল স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে যৌথভাবে করে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হবে। সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া একটি পুকুরও রয়েছে এ আশ্রয়ন প্রকল্পে। শিশু-কিশোরদের শরীর গঠন ও বিনোদনের জন্য প্রকল্প এলাকায় থাকছে খেলার মাঠ। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আধুনিক গ্রামের সব সুবিধাই থাকছে খেজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।