টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ বরগুনার জনজীবন। ঘরে কিংবা বাইরে, কোথাও স্বস্তি নেই। তবে এ গরমে এক ফালি তরমুজ ঠিকই প্রশান্তি আনবে মনে।
বরগুনা পৌর বাজার সহ বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাতে তরমুজ ব্যবসা এখন জমজমাট। বিশেষ করে যারা ভ্যানে ফেরি করে যারা বিক্রি করেন, গত কয়েক দিনে তাদের আয় বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু দাম চড়া। তাও পিস হিসেবে নয়, বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। তাই অনেকের কাছেই এমন চড়া দামে তরমুজ কেনা বেশ কষ্টসাধ্য।
বরগুনা টাউনহল এলাকায় ভ্যানে তরমুজ বিক্রি করছিলেন মো. আউয়াল হোসেন। কথা হলে তিনি বলেন, গরমে তরমুজের চাহিদা বেশি। বিশেষ করে কালো তরমুজ। তরমুজগুলো দেখতে কালো হলেও ভেতরটা লাল টকটকে। দেখেই প্রান জুড়িয়ে যায়। খেতেও অনেক মিষ্টি।
তিনি আরো বলেন, চাহিদা থাকলেও এখন বাজারে তরমুজের সর্বরাহ নেই। আমরা বারোমাসি তরমুজ খুলনা, যশোর সহ বিভিন্ন স্থান থেকে চড়া দামে কিনে আনি। সকল খরচ বাদ দিয়ে এখন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
কেজি দরে দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে না কি? জানতে চাইলে আরেক বিক্রেতা খায়রুল বলেন, আড়তে পিস হিসাব করলেও মূলত তারা আমাদের কাছে কেজি হিসেবেই বিক্রি করে। তার ওপর অন্য জেলা থেকে আনার জন্য গুনতে হয় অতিরিক্ত পরিবহন খরচ। সব মিলিয়ে দাম বেড়ে যায়। তাই পিস হিসেবে বিক্রির সুযোগ থাকে না। আর এখন প্রায় সবখানেই তরমুজ কেজি হিসেবেই বিক্রি হয়।
লাকুরতলা এলাকার ক্রেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, পিস হিসেবে বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম চায়। বাধ্য হয়ে তাই কেজি হিসেবেই কিনছি। ক্রেতারা কেজি প্রতি কিনতেই এখন বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
উল্লেখ্য, গরমে পানির ঘাটতি কমাতে তরমুজের জুড়ি নেই। বিশেষজ্ঞদের তথ্যানুযায়ী তরমুজে পানির পরিমাণ ৯২ ভাগ। পানিশূন্যতা কমানোর পাশাপাশি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে তাই তরমুজ অতুলনীয়।
তরমুজে পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি ও বি থাকে। এ ছাড়া এ ফলে রয়েছে লাইকোপেন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা মানবদেহের কয়েক ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে। একই সাথে উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।