বরগুনা পৌর শহরের বটতলা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে গনপিটুনি দিয়ে সোহেল (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। বর্তমানে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম।
তিনি জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌর শহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর মা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্কুল ছাত্রীর মা জানান, সোহেল তাদের বাসার কাছেই ভাড়া থাকতেন। তাই তাদের সঙ্গে পরিচয়। গত মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফেরার পথে সোহেল তার মেয়েকে জানান, তার মা তাকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেছেন। এ কথা বলে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলেন। কিছুক্ষণ পর অটোরিকশা অন্য রাস্তায় যাওয়া শুরু করলে মেয়েটির সন্দেহ হয় ও সোহেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা করে। অটোরিকশা চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে রিকশা থামালে মেয়েটি পালিয়ে আসে।
ওই স্কুলছাত্রীর মা আরও জানান, বিষয়টি তারা স্থানীয় কাউন্সিলর জাহিদুল করিম বাবু ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হোসনে আরা চম্পাকে জানান। তারা সোহেলকে আটক করে পুলিশে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর সোমবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা সোহেলকে পিটিয়ে পুলিশে দেয়।
এবিষয়ে কাউন্সিলর বাবু বলেন, সোহেল মাদকাসক্ত।ইয়াবা বিক্রি ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোহেল বলেন, আমি বটতলা দিয়ে একাই হেটে হেটে বাজারে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ২০-৩০ জন কিশোর আমাকে মারধর শুরু করে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষন করে প্রভাবশালীদের কিছু বখাটে কিশোর। সে ঘটনায় আমি মামলা করায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আর যে মেয়েটিকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে সে আমার মেয়ের ক্লাসফ্রেন্ড।
বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলাম জানান, সোহেলকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। স্কুলছাত্রীর মা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।