একদিন পরেই মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। বছরের অন্যান্য সময় অপেক্ষা এ সময়টাতে ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদের। দেশের বিভিন্ন স্থানের কামারপট্টিতে ব্যাস্ততা দেখা গেলেও বরগুনা পৌর বাজারের কামারপট্টিতে দেখা গেছে উল্টো চিত্র।
সম্প্রতি বরগুনা পৌর মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কামারশালা সহ প্রায় তিন শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নতুন করে এখানে দোকান নির্মানের কাজ শুরু হওয়ায় বেচে যাওয়া কামারশালাগুলোও ভেঙে নতুন করে তুলতে নির্দেশ দিয়েছে মার্কেট কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৮ জুলাই) বরগুনা পৌর কামারপট্টিতে দেখা যায় হাতেগোনা অল্প কয়েকজন ক্রেতার আনাগোনা।
এসময় কথা হলে কামারা জানান, মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। ঈদের পূর্ব মুহূর্তেও নেই ক্রেতাদের আনাগোনা। দা, বঁটি, ছুরি, ধামা সান দিতে বা ক্রয় করতে আসছে না কোনো ক্রেতা। কোরবানিকে সামনে রেখে দা, বঁটি, ছুরি, ধামা তৈরি করে রেখে এখন ক্রেতা না পেয়ে তাদের মাথায় হাত।
তপন কর্মকার নামে এক কামার বলেন, বাপ-দাদার থেকে পাওয়া পেশা হিসেবে এই পট্টিতে ১৮টি দোকানে শতাধিক কর্মকার কাজ করে আসছিলাম। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি কেউই। তার মধ্যে নতুন করে দোকান তুলতে বলা হয়েছে।
আরেকজন কামার নারায়ণ কর্মকার বলেন, মাত্র ৫ দিন হলো আমরা কয়েকজন নতুন দোকান করে বসেছি। অনেকেই সমর্থ নেই, তারা চট বিছিয়ে কোনরকম বসেছে। তবে ক্রেতা নেই। ক্রেতারা আগেই অন্যান্য যায়গা থেকে তাদের মালামাল সংগ্রহ করেছে।
অ্যাড. মোস্তফা কাদের নামে এক ক্রেতা বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর এখানে দোকান ছিলনা। তাই ক্রেতারা অন্যান্য যায়গা থেকে তাদের মালামাল সংগ্রহ করেছেন।
যারাও আসছেন মালামালের দাম বেশি থাকায় ফিরে যাচ্ছেন।
বরগুনা পৌর কামারপট্টির সভাপতি হরিদাস কর্মকার বলেন, কয়লা ও লোহার দাম বেড়েছে। তার মধ্যে আগুনে পুড়ে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা দিনানিপাত করছি। যতই দিন যাচ্ছে ততই শঙ্কা বাড়ছে। সরকারের কাছে আমারা পুনর্বাসনের দাবি জানাই।