বরিশাল ইসলামিয়া ব্যাংক হাসপাতলে সিজারের মাধ্যমে বরগুনার গৃহবধূ হাজেরা বেগম তিন কন্যা সন্তানের জন্মদিয়েছেন। জন্মের ২০ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় (মেজ) শিশুর মৃত্যু হয়। অপর দুই শিশু ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
বুধবর (৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায়র দিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের নিউনেটাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গৃহবধূ হাজেরা বেগম-এর স্বজন জাহিদুল ইসলাম মেহেদি।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জুন) রাত ৯ টার দিকে ওই বেসরকারি হাসপাতলে সিজার অপারেশন হয় ওই নারীর। সৌদি প্রবাসী ইলিয়াস ফরাজির স্ত্রী হাজেরা বেগম (২২) বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের বাসিন্দা।
গৃহবধূ হাজেরার স্বজন জাহিদুল ইসলাম মেহেদি বলেন, ‘আমাদের পরিবারে তিন কন্যা সন্তানের আগমন উপলক্ষ্যে খুশির আমেজ বইছে। এ সংবাদে সন্তানের মা, ও বাবাসহ আমাদের পরিবারের সকলেই খুুশি ছিলো। সন্তানের বাবা সৌদি আরবে থাকেন। সে ওখানে বসেই খোঁজ খবর নিচ্ছেন। কিন্ত এক শিশুর মৃত্যুতে পরিবারে সকলেই শোকহত।
মেহেদি আরো বলেন, ‘গতকাল আমাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনাতে বসে আমার কাকি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসি। সিজার অপারেশনের মাধ্যমে একসঙ্গে তিন কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। পরে তিন নবজাতক শিশুকে চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। কাকির শারীরিক অবস্থা দুর্বল দেখে তাকে বরিশাল ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
বরিশাল শেবাচিমের শিশু বিভাগের মেডিডকেল অফিসার ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ মাসুম বলেন, ‘তিন নবজাতকে গতকাল শেবাচিমের নিউনেটাল ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে একটি শিশু (১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজন)। তবে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের মধ্যে একজনের আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যু। বাকি দুইজন সুস্থ আছে। ওদের শারীরিক অবস্থা দেখে দেখে আমরা চিকিৎসা গুলো চালিয়ে যাচ্ছি।’