বরগুনায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নামে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে বরগুনার বামনা উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামে এঘটনা ঘটে। স্বাধীনতা দিবসের রাতে এমন অশ্লীল আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা জানান, ২৬ মার্চ দিবগত গভীর রাতে উপজেলার গোলাঘাটা পাকাপুলঘাটা এলাকায় স্থানীয় যুবসমাজের ব্যানারে কাজল রেখা যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। রাত ১২টার পরে শুরু হয়ে এই যাত্রাপালা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ স্বাধীনতা দিবসের রাতে ওই যাত্রাপালায় অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অশ্লীল যাত্রাপালায় শুরু থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বামনা থানার এসআই আবদুল জলীলসহ জনপ্রতিনিধিরা।
স্বাধীনতা দিবসের রাতে এমন অশ্লীল নৃত্যের অনুমোতি প্রদান ও সে অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও পুলিশের সরব উপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক রতন মালাকর বলেন, স্বাধীনতা দিবসের রাতে এমন অশ্লীল যাত্রাপালা মোটেও কাম্য নয়। এসবের কারনে যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঘটে।
বামনা উপজেলা সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহবায়ক ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল বলেন, এই যাত্রাপালা আয়োজনে যারা অনুমতি প্রদান করছেন এবং উপস্থিত ছিলেন তারা যুবসমাজ ধংসের সাথে জড়িত।
বামনা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন, আমি আমন্ত্রন পেয়ে ওই যাত্রাপালায় গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে অশ্লীলতা থাকায় আমি চলে আসছি।
বামনা থানার পরিদর্শক আবদুল জলিল বলেন, আমি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। দর্শক ধরে রাখতে নাটকের ফাঁকে ফাঁকে নৃত্য হয়েছে। কিছুটা অশ্লীলতা থাকায় আমি নাটকটি পরে বন্ধ করে দিয়েছি।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশিরুল আলম বলেন, গোলাঘাটা গ্রামে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নাটক হবে মর্মে আমার কাছে অনুমোতি নিয়েছে। তবে আমি জানতাম না সেখানে অশ্লীল যাত্রাপালা হয়েছে।
রামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় যুবসমাজ। আমি কিছুসময় সেখানে ছিলাম। আমি থাকা অবস্থায় কোন অশ্লীলতা পাইনি।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সরকার বলেন, স্বাধীনতা দিবসের রাতে বামনা উপজেলায় এমন যাত্রাপালা আয়োজনের বিষয়ে আমি আদৌ জানিনা। আমার কাছে কেউ এ বিষয়ে অনুমোতি চাইতেও আসেনি।