বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা বাজার এলাকায় জামাইর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৩০/ ৩৫ লক্ষ টাকার পন্য লুটের অভিযোগ উঠেছে শশুর ও বৌউ এর বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম।
ব্যবসায়ী আবু সালেহ বামনা খুচনীচোরা গ্রামের মৃত কাদের হাওলাদারের ছেলে। তার শশুর অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান খান একই এলাকার ছোনবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালে সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে নাজমা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় আবু সালেহর সাথে। আবু সালেহ পেশায় একজন রড-সিমেন্ট ও স্যানিটারী মালামালের ব্যবসায়ী। বিয়ের কয়েক বছর পর শশুরের কাছ থেকে ছোনবুনিয়া এলাকায় ৬ শতাংশ জমি কিনে শশুরের সাথে যৌথভাবে একটি বিল্ডিং নির্মান করেন। এরপর তারা একসাথে সেখানে বসবাস করতে থাকেন এবং বিল্ডিং এর নিচ তলায় গোডাউন বানান আবু সালেহ।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে স্ত্রী নাজমার ও শশুরবাড়ির লোকজনের সাথে পারিবারিক বিরোধের সৃষ্টি হয় সালেহর। একারনে গোডাউন থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার রড-সিমেন্ট ও হার্ডওয়্যার-সেনিটারী মালামাল লুট করেন শশুর সিদ্দিক।
ভুক্তভোগী আবু সালেহ বলেন, আমার স্ত্রী বাজে স্বভাবের। সে তার বাবার কুপরামর্শে আমার সাথে ঝামেলা করেছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমার গোডাউনের ভেতরের দরজা ভেঙে ৮ টন রড, ১ হাজার বস্তা সিমেন্টসহ ৩০/৩৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এর সাথে জড়িত সকলের বিচার চাই আমি।
অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আজ আমার মেয়ে নাজমা একটি জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে।আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট। নিজের গোডাউনের মাল নিজে সরিয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে ফাঁসানো হচ্ছে।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম বলেন, চুরির খবর শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনা গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।