জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বরগুনা বামনা উপজেলার উত্তর কাকচিড়া গ্রামে পুকুরের মাছ ও গাছ থেকে নারিকেল চুরির মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উত্তর কাকচিড়া গ্রামের মৃত গোঞ্জে আলী প্যাদার ছেলে মো. শাহ আলম হাওলাদার (৫৫) সঙ্গে একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে মো. ছালাম হাওলাদারের (৪৫) দীর্ঘদিন থেকে বাড়ির জমি বন্টন নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এরই জেরে নিজ পুকুরের মাছ ও গাছ থেকে নারিকেল চুরির অভিযোগ এনে বামনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল শাহ আলম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছালাম হাওলাদারসহ তিন জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। আসামিদের অধিকাংশই দরিদ্র। থানা পুলিশের ভয়ে তারা স্বাভাবিকভাকে কাজকর্মও করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
মামলায় অভিযুক্ত ছালাম হাওলাদার বলেন, মামলার বাদী শাহ আলম বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার চালাতেন। তার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। সম্প্রতি একটি (পরিত্যক্ত) নর্দমাকে পুকুর বানিয়ে মাছ চুরির অভিযোগে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে এই নর্দমায় (পুকুর) বিগত ২০ বছরেও কোনো মাছ চাষ করে নেই। পরিত্যক্ত পুকুরে মাছ না থাকার পরেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন যা ইতোমধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান অবগত আছেন। মাছ চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মামলার বাদী শাহ আলম বলেন, মামলায় উল্লেখ বিষয়গুলো সত্য ঘটনা। এখানে মিথ্যার কিছু নেই।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশির আলম বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।