বরগুনার আমতলীতে বাবার চোখের সামনে বাস চাপায় পিষ্ট হয়ে তাসকিন (৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কেওড়াবুনিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসকিন পটুয়াখালীর বাঁধঘাট এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তাসকিন কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
স্বজনরা জানান, তাসকিন তার মায়ের সাথে আমতলীর পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামে নানা বাড়ি থাকতো এবং স্থানীয় কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। রবিবার তাসকিনের বাবা স্কুল থেকে তাসকিনকে বাড়িতে নিয়ে আসতে যায়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হওয়ার পরে তাসকিন আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেটে তার বাবার কাছে যাচ্ছিল। পথে ওই সড়কে চলাচলরত একটি দ্রুতগামী যাত্রাবাহী বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। বাবার চোখের সামনে ঘটনাস্থলেই ছোট্ট তাসকিনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
তাসকিনের বাবা আবুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবা তাসকিন আমাকে দেখেও আমার কোলে উঠতে পারলো না। আমার চোখের সামনে বাসটি আমার ছেলেকে চাপা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচবো।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, দূর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।