প্রেম করে বিয়ে করেছে ছেলে। এ অপরাধে তার প্যারালাইজড বৃদ্ধ বাবাকে ঘড় থেকে টেনে হিচড়ে বের করে জুতাপেটা ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করছে মেয়ের ভগ্নিপতি ও তার ভাগিনা। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার (২৮ মে) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, ৪ বছর আগে হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইরচর গ্রামের রাজ্জাক মোল্লার মেয়ে মনিরা বেগম (২২) ও কাঠালিয়া গ্রামের হামেদ আকনের ছেলে নিপুন আকন (২৪) গোপনে বিয়ে করেন। সপ্তাহ খানেক আগে মনিরার পরিবার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করলে মনিরা পালিয়ে স্বামী নিপুনের নিকট ঢাকায় চলে যান। এতে করে গোপন বিয়ের ঘটনা গ্রামে জানাজানি এবং মনিরা পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় মনিরার বাবা রাজ্জাক মোল্লা।
এঘটনার জেরে শনিবার দুপুরে মনিরার ভগ্নিপতি জিরাদ এবং ভাগিনা আসিফ বাঁশের লাঠি নিয়ে নিপুন আকনের বাড়িতে গিয়ে অশ্রাব্য গালাগাল শুরু করেন। এক পর্যায়ে ঘর থেকে নিপুনের বৃদ্ধ বাবা হামেদ আকনকে টেনে হিচড়ে বাইরে বের করে মারধর ও জুতাপেটা করে আহত করেন।
প্রতিবেশী রিপন মৃধা বলেন, ছেলে বিয়ে করার অপরাধে বৃদ্ধ হামেদ মৃধাকে মধ্য যুগীয় কায়দায় বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে। এঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাই।
আহত হামেদ আকন বলেন, ছেলে ভালোবেসে রাজ্জাক মোল্লার মেয়েকে বিয়ে করেছে। বিয়ের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। অথচ রাজ্জাক মোল্লার জামাই জিরাদ এবং তার ছেলে আসিফ আমার বাড়িতে এসে অশ্রাব্য গালাগালি করেছে। ঘর থেকে টেনে হিচড়ে বাইরে বের করে জুতা পেটা এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
হামেদ আকনের বড় ছেলের স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, শ্বশুরকে বাঁচাতে গেলে জিরাদ এবং তার ছেলে আসিফ আমাকেও মারধর করে এবং বাশের লাঠি দিয়ে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। তাদের ভয়ে শ্বশুরকে চিকিসা পর্যন্ত করাতে পারিনি।
অভিযুক্ত জিরাদ মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার নাবালক শালীকে বিয়ে করেছে হামেদ আকনের ছেলে নিপু আকন। তাকে খুঁজতে ওই বাড়ি গিয়েছিলাম।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।