ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোনো বয়স লাগে না। যে কোনো বয়সেই তো হয়ে উঠতে পারে। যেমন হয়েছে হামিদা বেগম ও মোকছেদ আলী গাজীর ক্ষেত্রে।
বয়স ৫০ হলেও বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি হামিদা বেগম। এদিকে ৬৮ বছরের মোকছেদ আলীর স্ত্রী মারা যাওয়ায় একা হয়ে যান তিনিও। একাকীত্ব ঘোঁচাতে পরিবার খুঁজতে শুরু করে তার পাত্রী। যোগাযোগ হয় হামিদার সঙ্গে মোকছেদ আলীর। ভালো লেগে যায় দুজনকে দুজনার। পারিবারিকভাবে বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয়ে যায় তাদের।
শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামে এ বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ঘোনা গ্রামের মৃত ছবেদ আলী গাজীর ছেলে মোকছেদ আলী গাজীর স্ত্রী কয়েক মাস আগে মারা যান। তখন থেকেই মোকছেদ গাজীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা পাত্রী খোঁজা শুরু করেন। একপর্যায়ে উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বাথুয়াডাঙ্গা গ্রামের শহর আলী গাজীর ৫০ বছর বয়সী হামিদা বেগমের সন্ধান পান মোকছেদের পরিবারের সদস্যরা।
বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে তারালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট বলেন, ‘এর আগে হামিদা বেগমকে একাধিক বার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও কখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হননি তিনি। একপর্যায়ে দুইজনের ভালোলাগা ভালোবাসায় পরিণত হলে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এ বিয়েতে নবদম্পতি দুজনই অনেক খুশি।