বরগুনায় মায়ের মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। বুধবার দুপুরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সৎ মা ছাহেরা খাতুনের মরদেহ ফেলে রেখে ছেলে মো. জাফর পালিয়ে যায়। মৃত ছাহেরার গর্ভজাত সন্তানদের অভিযোগ, সম্পত্তি বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দে খাবারে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে তাদের মাকে হত্যা করেছে সৎ সন্তানরা।
মৃত ছাহেরা খাতুন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী এলাকার মৃত হাছন তালুকদারের স্ত্রী।
মৃত ছাহেরা খাতুনের গর্ভজাত ছেলে সোলায়মান জানান, প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে তালাকের পর বালিয়াতলী এলাকার হাছন তালুকদার তার মা ছাহেরা খাতুনকে বিয়ে করেন। গতবছর ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি বাবা হাছন তালুকদার মৃত্যু বরণ করেন। স্বামীর ঘরেই সৎ সন্তানদের সাথে বসবাস করতেন ছাহেরা। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি এবং বরগুনা ও বরিশালে চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা শেষে মায়ের ইচ্ছেতে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাছন তালুকদারের ঘরে রেখে আসি।
সোলায়মানের অভিযোগ, সৎ ভাইয়েরা তাঁর মাকে খাবারের সাথে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে।।
ছাহেরা খাতুনের মেয়ে জামাই একই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বাবুল আক্তার বলেন, হাছন তালুকদের ১৫ একর জমি জমা রয়েছে। ওই সম্পত্তির ভাগ দেবে না বলেই খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে শ্বাশুড়ি হত্যা করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ছাহেরা খাতুনের সৎ ছেলে মো. জাফর জানান, ভুলবশত ওষুধ ভেবে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। আর এই বিষয়টি ভাই ভিন্ন ভাবে দেখছে। তাই হাসপাতালে তার যাওয়ার খবর পেয়ে আমি অন্যত্র চলে এসেছি।
বরগুনা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহার রঞ্জন বৈদ্য জানান, হাসপাতালে তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঠিক কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়না তদন্তের পরে বলা যাবে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলী আহম্মদ জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হবে।