বরগুনার তালতলী সদরের মোটরসাইকেল ড্রাইভার স্বামী মো. হাসানের পরকীয়া ঠেকাতে নিরুপায় হয়ে পরকীয়া প্রেমিকা ফাতিমা আক্তারের (২৮) সাথে কাজী ডেকে বিয়ে দিয়ে দিলেন বড় বউ অযুফা বেগম।
মঙ্গলবার (২৮) ফেব্রুয়ারি বিকেল তিনটায় তালতলী থানা চত্বরে সামনের একটি চায়ের দোকানে বসে পরকীয়া প্রেমিকা ফাতিমার সাথে পাঁচ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে হয় হাসানের। একই সাথে বড় বউ অজুফা বেগমেরও নতুন করে আড়াই লাখ টাকার কাবিনে বিয়ে পড়ান কাজী মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ।
জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড় অংকুজান পাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে মো. হাসান এর সাথে অজুফা বেগমের বিয়ের পর থেকেই পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিলেন হাসান। এ নিয়ে পরিবারিক কলহ চলছিল। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে পরকীয়া প্রেমিকা ফাতিমার সাথে দেখা করতে গেলে স্থানীয় মানুষজন প্রেমিক – প্রেমিকাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
হাসানের বড় বউ অজুফা বেগম বলেন, স্বামীর পরকীয়া ঠেকাতে নিরুপায় হয়ে এই বিয়েতে রাজি হয়েছি।
মো. হাসান বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাকে ডেকেছে ফাতিমা। দেখা করতে গেলে লোকজন জড়ো হয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে অামাকে। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে অজুফা বেগমকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কাবিনে ও ফাতেমাকে ৫ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে করি।
তালতলী থানার তদন্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজন হাসানকে ও পরকীয়া প্রেমিকাকে আটক করে পুলিশ খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে উভয় পরিবারের লোকজনের কাছে তাদের জিম্মা দেওয়া হয়। হাসানের বর্তমান বউ অজুফা বেগমের সাথে নতুন করে আড়াই লক্ষ টাকার কাবিন হয় ও প্রেমিকা ফাতিমা আক্তারের সাথে ৫ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।