বরগুনার দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী রুমা আক্তারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। এবার নার্স হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে তার। রুমা সদর উপজেলার বাঁশবুনিয়া গ্রামের কালিরখাল এলাকার রিকশাচালক নাসির উদ্দিনের মেয়ে।
অদম্য মেধাবী রুমা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় (এইচএসসি) জিপিএ ৫ পেয়েছে। এর আগে জেএসসি এবং এসএসসি পরিক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এসএসসিতে পেয়েছে বৃত্তিও। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তার স্বপ্ন ছিলো নার্স হওয়ায়। কিন্তু কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ছিল রুমার বাবা নাসির উদ্দিন। পরিবারের ভরণপোষণ দিতেই তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই দরিদ্র রিকশাচালক বাবার তাকে নার্সিং পড়ানোর মতো সক্ষমতা ছিল না। তাই ম্লান হতে যাচ্ছিল রুমার নার্স হওয়ার স্বপ্ন।
শিক্ষার্থী রুমা আক্তারের নার্স হওয়ার প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ঢাকা পোস্ট একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসএম মশিউর রহমান শিহাবের নজরে আসে এবং তিনি রুমার লেখাপড়ার সব ব্যয়ভার গ্রহণের আশ্বাস দেন। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) রুমা ও তার বাবা রিকশাচালক নাসির উদ্দিনকে নিজের বাসায় ডেকে নেন তিনি। এ সময় তাদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং রুমার নার্স হওয়ার সকল ব্যয়ভার গ্রহণ করেন। শিহাবের আশ্বাসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রুমা ও তার বাবা।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রুমা আক্তার বলেন, আমার বাবার পক্ষে আমাকে নার্স বানানো সম্ভব ছিল না। শিহাব ভাই নার্স হওয়ার স্বপ্ন পুরনে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভাবতেও পারিনি যে আমি নার্সিং পড়তে পারব। আমি আজ অনেক খুশী। শিহাব ভাইয়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমার পরিবার।
রুমার বাবা নাসির উদ্দিন বলেন, আমি খুব অসুস্থল। রিকশা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে কোনোভাবে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পেট চালাই। আমার পক্ষে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় শিহাব আমার মেয়ের লেখাপড়ার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এতে আমি খুব খুশি। তার কারণে রুমার নার্স হওয়ার সকল বাধা দূর হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মশিউর রহমান শিহাব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মানবিক মানুষ। তিনি নিজেই অসংখ্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। নেতাকর্মীদের মানবিক কর্যক্রম পরিচালনা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। তার নির্দেশ পালনের পাশাপাশি তার কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি আমার সামর্থ অনুযায়ী হতদরিদ্র এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। মেধাবী শিক্ষার্থীর দায়িত্ব গ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।