মাইক্রোবাস আটকে ব্যবসায়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনায় বরগুনার ফুলঝুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান দুরন্ত ও তার বাবা জাহাঙ্গীর ঘরামিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার নিশ্চিত করে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সাইফুল ও সাইদুলের ভাই আসাদুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
তিনি জানান, মামলায় ফুলঝুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, তার বাবা জাহাঙ্গীর ঘরামি, চাচা সেলিম ঘরামি, পশ্চিম ছোট গৌরিচন্না এলাকার মোঃ ফারুকের ছেলে অমিত, একই এলাকার মোঃ আবদুর রহিমের ছেলে মোঃ শাহাবুদ্দিন ও বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের মৃত আদম আলী মৃধার ছেলে মোতাহার মৃধাকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদির অভিযোগ, গত ১৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার বরগুনা থেকে মাইক্রোবাসে বাড়ি ফেরার পথে দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে আসামী ফুলঝুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান দুরন্ত ও তার বাবা জাহাঙ্গির ঘরামিসহ অন্য আসামীরা পশ্চিম ছোট গৌরীচন্না এলাকায় তাদের মাইক্রোবাসটির সামনে মোটরসাইকেল রেখে গতিরোধ করে। এরপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাইফুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সোহেল ও সোহেলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে গাড়ি থেকে নেমে এগিয়ে এলে সোহেলের স্ত্রী সাবরিনা বেগমকে মারধর করে সাথে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত সোহেল ও কনুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিতসার জন্য ভর্তি করান।
মামলার বাদি আসাদুল ইসলাম নাজমুল বলেন, জাহাঙ্গীর ও তার ছেলে মেহেদী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এরা দুই বাপ ছেলেই বেপরোয়া, তুচ্ছ কারণে এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে মারধর ও হয়রানি করে আসছে। আমার দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করার ন্যায় বিচার চাই।।
মামলার বাদি
ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তার বাবা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এবিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগীরা জেলা ছাত্রলীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, আসামীদরর গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।