রমজানের শেষ সময়ে ঈদ উপলক্ষে মুচিপাড়ায় বেড়েছে ব্যস্ততা। মুচিরা জুতা তৈরিসহ পুরোনো জুতা মেরামত ও পালিশ করে দিনরাত সমান ভাবে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দম ফেরানোরও সুযোগ নেই মুচিদের।
বিষখালীর শাখা নদী ভাড়ানী খালের পাড়ে বরগুনা পৌর বাজারের মুচিপাড়া। এখানে ত্রিশ জন মুচি কাজ করেন। স্থানীয়দের কাছে স্থানটি মুচিপট্টি নামেই পরিচিত। বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় রমজানের শেষ সময়ে ঈদের পূর্বে বেড়ে যায় এখানে মুচিদের কর্মব্যস্ততা। সেবা পেতে ভীড় জমে যায় মানুষের।
বরগুনার মুচিপাড়ায় গিয়ে দেখা যায় মুচিদের ব্যস্ততা। কেউ জুতা তৈরি করছেন, কেউ পুরোনো জুতা মেরামত করছেন, কেউবা আবার জুতায় পালিশ করছেন। আর এসব সেবা নিতে ভীড় জমেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের।
মুচি শ্রী সুমন দাস বলেন, ঈদের সময় মধ্যবিত্ত মানুষরা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি জুতা পালিশ করাতে আসেন। নিম্নবিত্ত মানুষরা আসেন পুরাতন জুতা মেরামত করাতে।
মুচি গনেশ চন্দ্র ঋষি বলেন, সব থেকে নিম্নবিত্তদের সংখ্যাই বেশি হয় ভীড়ে। তবে অনেক ধনীরাও আসেন, পাঞ্জাবীর সাথে মিলিয়ে নতুন জুতা তৈরি করতে জুতার মাপ দিয়ে যান।
মুচি রতন দাস বলেন, এবার ঈদে জুতা তৈরির চাহিদা বেড়েছে। বেশিই আসে কলেজ শিক্ষার্থীরা।
মুচি নিরঞ্জন দাস বলেন, মুচিপট্টিতে ঈদ এলেই ব্যস্ততা বেড়ে যায়। মানুষের আনাগোনা বাড়ে। তবে কাজের মজুরি আমরা আগের মতোই রাখি। কেউ খুশি হয়ে বকশিস দিলে তা থেকেও কম নেই। কারণ ঈদ বাজারে এখানে সল্প আয়ের মানুষই বেশি আসে।
বরগুনা পৌর মুচিপট্টির সভাপতি অনিল দাস বলেন, চাঁদ রাতের একদম মধ্য রাত পর্যন্ত আমাদের ব্যস্ততা থাকে।আমরা এখানে ৩০জন মুচির কাজ করি। যায়গা সংকটের কারণে সবাই একসাথে বসতে পারিনা। তাই সেবা দিতে বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। আমরা সবাই একসাথে বসার জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থানের জন্য আমরা জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে দাবি জানিয়েছি।