ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকান্ডে নিহত পরিবারের ৫ সদস্যকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাস ও প্রেসক্লাবের আয়োজনে ৫টি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল ২০২০ সালে জয়িতা পুরস্কার হিসেবে ২১ হাজার টাকা পেয়েছেন। ওই টাকাসহ ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গত বৃহস্পতিবার সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল।
সভাপতিত্ব করেন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা, চিত্তরঞ্জন শীল, জাকির হোসেন মিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ ও জাগোনারীর প্রধান নির্বাহী হোসনেয়ারা হাসি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও লোকবেতারের পরিচালক মনির হোসেন কামাল।
অগ্নিকান্ডে নিহত পরিবারের সদস্য হাফসা আক্তার, মুক্তা বেগম, আবুল কালাম মীর, হাফেজ মিরাজ ও রোকেয়া আক্তার পিয়াকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
হাফসার বিয়ের বাজার করে ফেরার পথে তার বাবা আবদুল হাকিম শরীফ, মা পাখি বেগম ও ছোট ভাই মো. নসরুল্লাহ আগুনে পুড়ে মারা যায়। হাফসাকেই এখন ছোট দুই ভাই-বোনের ভরন-পোষনের দায়িত্ব নিতে হয়েছে।
নবজাতক ছেলেকে প্রথমবারের মতো দেখার জন্য গার্মেন্টস কর্মী রিয়াজ হাওলাদার ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে আগুনে পুড়ে মারা যায়। দুই শিশু সন্তান নিয়ে মুক্তা বেগম বর্তমানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
আবুল কালামের একমাত্র ছেলে রাসেল মীর ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পথে আগুনে পুড়ে মারা যায়। রাসেলের ৩ বছরের একটি মেয়ে আছে। মেয়েটির মা আগেই মারা গেছে। বাবা-মা হারানো মেয়েটির লালন-পালনের দায়িত্ব বৃদ্ধ দাদাকে করতে হচ্ছে।
অন্ধ হাফেজ মিরাজের বাবা ইদ্রিস খান আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। একমাত্র ছেলে মিরাজ অন্ধ হবার কারনে অন্য কোন কাজ করতে পারেননা। তিনি কলেজ রোডে নিজের ভাড়া বাসায় অন্ধ হাফেজী মাদ্রাসা করে অন্ধদের কোরআন শিক্ষা দিচ্ছেন।
লঞ্চের আগুনে আবদুল হক মারা যাবার পরে তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তার পিয়া ২ নাবালিকা মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।