তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দন্দে বরগুনা পৌর সুপার মার্কেটের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও টেকনিশিয়ান মোঃ সুমন মিয়াকে রড দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতন করেছে ওই মার্কেটেরই মোঃ সুমন মিয় নামের অপর একজন মোবাইল ফোন ব্যবাসায়ী।
বুধবার সন্ধ্যায় বরগুনা পৌরসুপার মার্কেটের সিড়ি থেকে ওঠার সময় সুমনকে রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। সেখান থেকে কোনমতে রিকশায় করে বাসায় গিয়ে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন তিনি।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে আহতাবস্থায় মো. সুমনকে বরগুনা জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার মোবাইল ফোন ব্যবাসায়ী ও টেকনিশিয়ান মো. সুমন বেতাগী উপজেলার উত্তর ছোট মোকামিয়া গ্রামের আবদুল গফুর হাওলাদারের ছেলে। তিনি বরগুনা পৌরশহরের আমতলা এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকেন।
নির্যাতনকারী ব্যবসায়ী মো. সুমন মিয়া বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কামরাবাদ এলাকার মো. মোশাররফ হোসেনে ছেলে।
সুমনের শশুর মো. বারেক মিয়া জানান, বুধবার সকালে সুমনের দোকান থেকে তিনশ টাকায় মোবাইল ফোনের একটি ডিসপ্লে কিনেছিলেন অপর ব্যবসায়ী মোঃ সুমন মিয়ার দোকানের কর্মচারি মোঃ আবুল কালাম। কিছক্ষণ সেটি নষ্ট দাবি করে ফেরত দিতে বিক্রেতা সুমনের দোকানে আসেন সুমন।
এ নিয়ে সুমনের সাথে কালামের তর্ক হয় এবং এক পর্যায়ে কালামের দোকানের মালিক মোঃ সুমন মিয়াও সেখানে এসে তর্ক মিটিয়ে দিয়ে কর্মচারি কালামকে নিয়ে তার দোকানে চলে যান। ওইদিনই সন্ধ্যায় ইফতারি শেষে মোঃ সুমন দোকানে ফেরার সময় পৌর মার্কেটের সিড়িতে অপর দোকান মালিক মোঃ সুমন মিয়া মোবাইল ব্যবসায়ী ও টেননিশিয়ান মোঃ সুমনকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
পরে কোনোমতে একটি রিকশা ডেকে বাসায় যান আহত সুমন। বাসায় গিয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরার পর বিষয়টি তার স্ত্রী ও শ্বশুড়কে জাননোর পর সুমনকে নিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতনের শিকার মোঃ সুমন মিয়া বলেন, আমি ইফতারির পর দোকানে ফেরার পথে সিড়িতে পেয়ে সুমন রড দিয়ে এলোপাতারি পেটাতে থাকে। আমি রিকশায় করে বাসায় পৌঁছানোর পর আর কিছু মনে নেই। সকালে উঠে ব্যাথা অনুভব করে দেখতে পাই আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
পৌর মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসীম উদ্দীন বলেন, আমি শুনেছি সুমন নামের দুই ব্যবসায়ীর সাথে তর্ক হয়েছে। কিন্ত এভাবে যে মেরেছে এখন জানলাম। বিষয়টি মিমাংসা যোগ্য হলে আমরা বসে মিটমাট করব। আর সুমন যদি পুলিশের কাছে যায় তবে তাকে সহযোগীতা করব।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে দোকানে গিয়ে অভিযুক্ত সুমন ও তার কর্মচারি কালামকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সেখানের একজন ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ডিসপ্লে কেনাবেচা নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে মোঃ সুমন আবুল কালামকে ঘুষি দিয়েছিল। এর জেরে হয়ত কালামের দোকান মালিক মোঃ সুমন মিয়া অপর দোকানী সুমনকে মেরেছে।
বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা সুমনের দোকানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম । অভিযুক্তদের দোকানে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।