তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুজিব পাগল সেই ইছাহাক আলী শরীফ (৯৩) আর নেই। বার্ধ্যক্য জনিত কারনে রবিবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিতিবাদে তিনি ৪৭ বছর ধরে খালে পায়ে হেটেছেন।
এ নিয়ে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট সমকালে ‘৪৬ বছর ধরে জুতা পরেননা তিনি’ শিরোনামে একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল। তখন তিনি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেছিলেন। কিন্তু তার সে আশা পূরন হওয়ার আগেই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর থেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ইসাহাক আলী শরীফ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি তিনি।
শেখ মুজিবকে হারানোর শোক বুকে ধারণ করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খালি পায়ে ও কালো পোশাকে চলাফেরা করেছেন ইছাহাক আলী শরীফ। তাই এলাকায় তিনি মুজিব পাগল নামে পরিচিতি ছিলেন।
২০২১ সালে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাত কালে তিনি জাতির জনকের কন্যা প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে তিনি দেখা করতে চেয়ে ছিলেন। মৃত্যুর আগে তার সে আশা আর পুরন হয়নি। এর আগেই তিনি চলে গেলেন পরপারে।
২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষতায় আসার পর মুজিব পাগল হওয়ার কারনে এবং তাকে ভালোবাসার কারনে ইসাহাক আলী শরীফকে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে বিএনপির জামাত জোট ক্যাডাররা।তারপরও মুজিবের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাকে নড়াতে পারেনি কেউ।
তিনি এক সাক্ষাত কারে বলেছিলেন, যে মাটিতে মুজিব ঘুমিয়ে আছে সে মাটিতে তিনি জুতা পায়ে হাটতে পারেননা।
মৃত্যু কালে চার ছেলে ও চার মেয়ে সহ অসংখ্য শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার মরহুমের নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মুজিব পাগল ইসাহাক আলী শরীফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবিউল কবির জোমাদ্দার, সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনুসহ আওয়াশীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।