মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় প্রথমে ঘুমের ঔষধ সেবন এবং পরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বরগুনার এক কিশোর। শনিবার (৭ মে) বিকালে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (৬ মে) রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত কিশোর তাজোয়ার মাহমুদ রমিম হোসেন (১৭) বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের মৃত পনু চৌকিদারের ছেলে। বন্ধুদের কাছে রমিম ছোট নবাব নামে পরিচিত ছিলো।
স্বজনরা জানান, অনেক দিন ধরেই মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য পরিবারের কাছে বায়না ধরে রমিম। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতা সহ নানা কারনে তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়নি পরিবার। এ কারনে ঈদের আগের দিন রবিবার মাত্রারিক্ত ঘুমের ঔষধ সেবন করে রমিম। পরে স্বজনরা তাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এরপর ঈদের দিন সোমবার বিকালে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি গিয়ে ফের মোটরসাইকেলের জন্য আবারও বায়না ধরে রবিম। এতেও মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে কীটনাশক পান করে রমিম।
পরে পরিবারের সদস্যরা রমিমকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা সংকটাপন্ন অবস্থায় রবিনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (৬ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রমিমের বোন তামান্না জানান, মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় রমিম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কীটনাশক পান করে। পরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা রমিমকে বরিশাল পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমিম মৃত্যুবরণ করে।
তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রমিমের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (৭ মে) জানাজা শেষে রমিমের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।