বরগুনার বেতাগীতে অর্থ ঋন আদালত আইনে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুরুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৯ ফ্রেরুয়ারি) সন্ধ্যায় পৌর শহরের শহীদ মিনার এলাকায় তার দোকান থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পরিবারের দাবি ব্যাংকের ঋন পরিশোধ ও মামলা উত্তোলণ খরচ দেওয়ার পরেও অগ্রণী ব্যাংকের বেতাগী শাখা ব্যবস্থাপক মো: শাহ আলমের গাফেলতি ও ভুলের কারণে তাদের এ খেসারত গুনতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ভোগ্যপণ্য ঋন হিসেবে ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। ২৩ শত টাকা মাসিক কিস্তী হিসেবে দিয়ে আসার পর এক পর্যায় ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৭ সালে অর্থ ঋন আদালত আইনে গ্রাহক নুরুল হকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ২০২১ সালের ফ্রেরুয়ারি মাসে ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা সন্বয়ের মাধ্যমে ঋন পরিশোধ করে এবং মামলা উত্তোলণ খরচ বাবাদ সাথে বাড়তি ৪ হাজার টাকা শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে প্রদান করে।
নুরুল হকের স্ত্রী হালিমা বেগম অভিযোগ করেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফেলতি ও ভুলের কারণে তাদের খেসারত দিতে হচ্ছে। অর্থ ঋন আদালত আইনে দায়ের করা সার্টিফিকেট মামলায় তার স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহ আলম জানান, ঋন সংক্রান্ত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং আগামীকাল কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয় অগ্রণী ব্যাংকের বেতাগী শাখা ব্যবস্থাপক মো: শাহ আলম বলেন,‘ এ বিষয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোন দায়বদ্ধতা নেই। মামলায় গ্রাহক হাজিরা না দেওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।