বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে জন-বসতি ও ফসলি জমি রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য একনেকের সভায় ৪০৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২২ ফ্রেরুয়ারি) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০২১-২২ অর্থ বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১১তম সভা একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনরা সভাপতিত্বে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
একনেকের সভায় ৮২৬ কোটি টাকা ব্যায়ে বরগুনা জেলাধীন পোল্ডার ৪১/৬ এ, ৪১/৬ বি ও ৪১/৭ এ পুনর্বাসন এবং বেতাগীশহরসহ অন্যান্য ঝুকিপূর্ণ অংশ বিষখালী ও পায়রা নদীর ভাঙন হতে প্রতিরক্ষা প্রকল্পঅনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে বেতাগীশহর রক্ষাবাঁধ নির্মানে ৪০৪ কোটি টাকা বরাদ্ধ রাখা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বেতাগী শহর রক্ষা বাধঁ নির্মাণ সহ বিষখালী নদীর ভয়াবহ ভাঙন রোধে এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বেতাগী পৌরসভার পক্ষ থেকে বাদ আছর দোয়া-মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শোকরিয়া আদায় করা হয়।
বেতাগী প্রেসক্লাব, ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগ সমিতির পক্ষ থেকে জনগনের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জানানো হয় কৃতজ্ঞতা। ধণ্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও গণমাধ্যম কর্মিরাও।
প্রকল্পটি পাস হওয়ার খবর দ্রুত উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে সাথে সাথে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে বিষখালী নদীর পাড়ের হাজারো নদী ভাঙা পরিবারের সদস্যরা।
বেতাগী পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম গোলাম কবির তাঁর প্রতিক্রিয়া বলেন, বিষখালী ভাঙন থেকে বেতাগীকে রক্ষায় এ প্রকল্প ইতিহাস হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার পর এত রড় প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, এমপি সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
রগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, জনগনের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী আজ বাস্তবায়ন হওয়ায় প্রধানমস্ত্রীর প্রতি কৃতাজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প একনেকে পাস হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করছেন নদী ভাঙা পরিবারের নারী ও পুরুষরা।
এ সময় উত্তর বেতাগী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব আমীর আলী জানান, তারা ১০ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নিস্ব হয়েছেন। এ সংবাদে এখন আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।
নদীর পাড়ের বাসিন্দা প্রবীন রাজণেতিক আব্দুস সোবাহান জানান, তার পরিবার একাধিকবার নদী ভাঙনের শিকার হন। তবুও বিষখালীর মায়া ছাড়তে পাড়ছেন না। তাঁর পাড়েই বসবাস করছেন। এ খবরে খুশি তিনিও।