বরগুনার আমতলীতে মো. পারভেজ (২৭) নামে এক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে আমতলী পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের রুহুল আমীনের বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারভেজ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা এলাকার ফারুক হাওলাদারের ছেলে। তিনি পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নামের একটি ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের হিসেবে আমতলীতে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাদে আমতলী পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের রুহুল আমীনের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে রুহুল আমীনের ভাড়া বাসার তৃতীয় তলায় পারভেজের রুমের জানালা থেকে ওই ভবনের লোকজন পারভেজকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পারে রোববার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গের সামনে পারভেজের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে এসেছেন বাবা ফারুক হাওলাদার। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলের সাথে মঠবাড়িয়ার এক কলেজ শিক্ষিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে নাকি এখানে কেউ তাকে হত্যা করেছে কিছুই বুঝতেছি না। আমি এঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবী জানাই।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।