‘বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন্যপ্রাণী রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
বরগুনায় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের আয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট আগারগাঁও ঢাকা পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে বরগুনা সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবীদেরকে অংশগ্রহণে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ও বন্যপ্রাণী হ্যান্ডেলিং প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, বন্য প্রাণী উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্তকরণ, আহত বা অসুস্থ বন্য প্রাণীর পরিচর্যা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার বিষয়ে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির গ্রহণ করেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বন্যপ্রাণী নিধন যেমন কমে আসছে। পরিবেশ-প্রতিবেশ ও পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বন্যপ্রাণীকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার জন্য যা যা করণীয় তা আমাদেরকে করতে হবে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট আগারগাঁও ঢাকা পরিদর্শক অসিম মল্লিক বলেন, বন বিভাগ এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সচেতন তৎপরতার ফলে বন্যপ্রাণী ও এর অংশবিশেষ পাচার কমে আসছে। যারা বন্যপ্রাণী নিধন করে, তারা যেমন প্রাণীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তেমনি তারা পরিবেশ-প্রতিবেশ বিধ্বংসী কাজেও জড়িত।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এএস এম জহির উদ্দিন আকন বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট খুবই অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিধন প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ অব্যাহত রয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়নের পর কয়েক বছরে এই আইনে সাড়ে তিন শতাধিক মামলা হয়েছে। বন্য প্রাণীর পাচার রোধ, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগে আমাদের এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।