আমরা আমাদের কাজটা করিনা,জনগনের টাকায় পড়াশুনা করেছি,এখন বেতন নিচ্ছি। প্রাথমিক শিক্ষাকে বাঁচাতে হবে,এর শ্বাস বের হয়ে আসছে। বরগুনা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা এ কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় বরগুনা জেলা প্রশাসক সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ড. উত্তম কুমার দাস ও প্রাথমিক ।
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বরগুনা পুলিশ সুপার মোঃ আবদুস সালম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রানালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, উপ-সচিব মোবাশ্বের হোসেন, গণশিক্ষা বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. সঞ্জিব দাস, বরগুনা জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামে সভাপতি জাফর হোসেন হাওলাদার সহ জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বলেন,নিজেদের সন্তানদের শহরে পড়ান,মানুষ করার চেষ্টা করেন,আর গ্রামের চাষাভুষা যারা আছে,তাদের সন্তানরা কি চাষাভুষাই থেকে যাবে? কিন্ডারগার্ডেনর শিক্ষকরা কতো বেতন পান, আর আপনারা কতো বেতন পান? কেন অভিবাকরা বিনা বেতনে পড়াবার সুযোগ পেয়েও সন্তানকে প্রাইমারীতে না পাঠিয়ে কিন্ডারগার্ডেন পাঠান?
সিনিয়র সচিব আরো বলেন, একজন শিক্ষক একটি স্কুলের চেহারা পাল্টে দিতে পারেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মমতা-ভালোবাসা আদর দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
এর আগে শুক্রবার সাকলে বরগুনা পিটি আই, মিলনায়তনে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।পরে তিনি পিটিআই চত্তরে ফলজ ও বণজ গাছের চাড়া রোপন করেন।