বরগুনার আমতলী পৌর শহরে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার কারনে মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের গো-হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুন দেখে স্থাণীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার ফিরোজ হাওলাদার, সোহরাফ হাওলাদার, মন্নান হাওলাদার ও খোকন হাওলাদারদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকার মুদি মনোহরী দোকান মালিক আনোয়ার হোসেনের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
বিরোধীয় জমি নিয়ে একাধিকবার শালিশ দরবার হলেও কোন ফয়সালা হয়নি। সর্বশেষ গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পরে আমতলী থানা গেটে পুলিশের উপস্থিতিতে শালিশ দরবার হয়।
ওই শালিশ দরবারে কোন ফয়সালা না হওয়ায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা আনোয়ার হোসেনকে খুন, জখম, মারধর ও বাড়ী ছাড়া করার জন্য হুমকি দেয় বলে এমন অভিযোগ আনোয়ার হোসেনের। এমন হমকি দেওয়ার পরে ওই রাতেই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত ফিরোজ হাওলাদারসহ ৪ থেকে ৫ জন আগুন লাগিয়ে একটি খালি পাত্র ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছেন বলেও তিনি জানান।
তবে স্থাণীয় একটি সূত্র জানায়, আগুল লাগার পর থেকে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে গা-ডাকা দিয়েছেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মুদি মনোহরদি দোকানে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়েছে। এতে আমার প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পরে থানা গেটে বসে তারা আমাকে খুন, জখম, মারধর ও বাড়ী ছাড়া করার জন্য হুমকি দেয়। এর ২/৩ ঘন্টা পরে ওই রাতেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগানো হয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তারা জানেন না কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।