বরগুনায় পুলিশ কর্মকর্তা আপোসে যৌতুক মামলায় জামিনে গিয়ে আবারও যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে স্ত্রী।
সোমবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহন করে তদন্তের জন্য বরগুনা মহিলা উন্নয়ন সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের আন্দার মানিক গ্রামের মনিরুল ইসলাম, তার বাবা ইউনুস হাওলাদার, মা রাশেদা হেনা ও বোন নাজমা আক্তার। মনিরুল ইসলাম পুলিশের উপ-পরিদর্শক হলেও বর্তমানে র্যাবে কর্মরত আছেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলার বাদী আসমা স্বামী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করার অভিযোগ করেন। এর আগেও তিনি বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় মনিরুল ইসলাম ৪ জানুয়ারী স্ত্রীর সঙ্গে আপোসের মর্মে জামিনে মুক্তি পান।
আদালত থেকে বাদী আসমাকে মনিরুল ইসলাম তার বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং দুইদিন পরে পুলিশের চাকরীর প্রমোশনের অজুহাতে ফের ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। আসমা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে মামলার আসামীরা তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে আসমার ভাই মনির তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
বাদী আসমা বলেন, আমার স্বামী পুলিশের দারোগা। এখন র্যাবে আছে। বার বার যৌতুক চেয়ে সে আমাকে নির্যাতন করেছে। এখন নাকি ওসি হবে। টাকার দরকার। এ কারনে ৫ লাখ টাকা যৌতুক চায়। আপোসের কথা বলে কোর্ট থেকে নিয়ে আবার যৌতুকের দাবীতে সে আমাকে নির্যাতন করেছে।
এবিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মনিরুল ইসলামের বাবা ইউনুস হাওলাদার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আমার ছেলের বউ মিথ্যা মামলা করেছে।